পরিকল্পিত পর্যটন শিল্প অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম

অতিথি নিউজ ডেস্ক ।।

পরিকল্পিত পর্যটন শিল্প অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম
সাজেক

দেশ-বিদেশের পর্যটকরা বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক অবকাঠামো ও আনন্দ উপভোগের জন্য বিশ্বময় ছুটে বেড়ায়।

এদেশে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের রয়েছে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ ইত্যাদি। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতগুলোর একটি আমাদের কক্সবাজার। এছাড়াও রয়েছে সেন্টমার্টিন, রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই হ্রদ-বান্দরবান লামাসহ পার্বত্য জেলাগুলোর বৈচিত্র্যময়তা। ইউনেস্কো সম্মানে ভূষিত ষাট গম্বুজ মসজিদ, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র, তারুয়া সমুদ্রসৈকত, ঐতিহাসিক লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিল ইত্যাদি হাজারও অবকাঠামো আমাদের ঐতিহ্য।

একটি দেশে অর্থনীতির জন্য ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে দেশের পর্যটন শিল্প, যোগাযোগব্যবস্থা, জননিরাপত্তা যত ভালো, সে দেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমন-বিচরণ ও অবস্থান তত বেশি এবং স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় অবস্থান লাভ করে। সৃষ্টি হয় ব্যাপক কর্মসংস্থানের। কোনো কোনো দেশে অর্থনীতির সিংহভাগ অর্জনই হয় পর্যটন শিল্প থেকে। এশিয়ার মধ্যেই পর্যটনের টানে যেসব দেশে আমি বহুবার গিয়েছি, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি। পর্যটন শিল্পের কারণে এসব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার যথেষ্ট ভারী এবং এদের মধ্যে কোনো কোনো দেশ উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই পর্যটকরা চোখের ক্ষুধা, মনের ক্ষুধা মেটানোর জন্যই দেশ-বিদেশ ঘুরছে। তারা যে দেশে যত বেশি যায়, সে দেশের অর্থনীতি তত চাঙা থাকে। বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার তত সমৃদ্ধ হয়।
আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ।