কী আছে পর্যটন মহাপরিকল্পনায়?
অতিথি পর্যটন ডেস্ক ।।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পর্যটন মহাপরিকল্পনার প্রণয়নের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। দেশের পর্যটন খাতের পরিকল্পিত বিকাশে এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩০ বছর মেয়াদি এই মহাপরিকল্পনা জাতীয় পর্যটন কাউন্সিলের (এনটিসি) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ পাওয়া বিদেশি পরামর্শক সংস্থা আইপিই গ্লোবালের সঙ্গে ২০১৯ সালে চুক্তি করে বিটিবি।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজের প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা।
মহাপরিকল্পনায় যা রয়েছে :
মহপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাঁচটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এতে এক হাজার ৪৯৮টি পর্যটন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে ট্যুরিস্ট এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য যেসব সুবিধা দরকার, তা তৈরি করে দেয়া হবে।
এছাড়া সারা দেশের এই ট্যুরিজম রিসোর্স বা পর্যটন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ভেতরে প্রতিটি বিভাগভিত্তিক রিজিওনাল প্ল্যানও রয়েছে, যেখানে রয়েছে ৫৩টি ক্লাস্টার। এখানে রয়েছে মার্কেটিং, ইনভেস্টমেন্ট এবং অ্যাকশন প্ল্যান। এ ছাড়া বাজার সম্ভাবনা, স্বাতন্ত্র্য, সম্পদের প্রাপ্যতা ও স্থায়িত্বের ভিত্তিতে এগুলোকে ১৪টি থিমে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে যত দেরি হবে, পর্যটন খাতে অব্যবস্থাপনা তত বাড়বে।