# বিনিয়োগ করেও বসে আছেন ব্যবসায়ীরা
# নির্মাণ উপকরণের দাম কমলে ঘুরে দাঁড়াবে ব্যবসা
তাহমিনা, একজন বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় দুই সন্তানের সাথে থাকতেন। তার সন্তানদের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অল্প অল্প করে জমাচ্ছিলেন টাকা। সম্প্রতি সঞ্চয়পত্র থেকে পাওয়া টাকা ও গ্রাম থেকে জমি বিক্রি করে আনা টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘সবারই ইচ্ছা থাকে আবাসন সমস্যা দূর করার। কারণ নগরজীবনে আয়ের বেশি অংশই চলে যায় বাসাভাড়া বাবদ। আমি প্রায় ৫০ লাখের মধ্যে ছোট কোনো ফ্ল্যাট পাবো না, কারণ ৮০ লাখের নিচে পছন্দমতো ফ্ল্যাট নেই, আর বড় ফ্ল্যাট তো কোটি টাকার ওপর। আমার স্বপ্ন আর দেখছি না।’
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানও একই ধরণের সমস্যায় পড়েছেন এবং বলেছেন, ‘অবসরের অর্ধেক টাকায় গ্রামে বাগানবাড়ি করেছি, এবং ইচ্ছা ছিল শহরেও একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। তবে, আমার টাকা ৫০ লাখ এবং ফ্ল্যাট কিনতে লাগবে ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা, যা বাড়তি দামে ফ্ল্যাট কিনতে অসম্ভব। আমার ফ্ল্যাটের ইচ্ছা ইচ্ছাই থেকে গেছে বাড়তি দামে।’
এই বিষয়ে আইএসও হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘এখন ফ্ল্যাট বিক্রি কম, ছোট-মাঝারির বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। বিক্রি না থাকায় অনেক কোম্পানিই বিনিয়োগ করে লোকসানে রয়েছে। কম দামে বিক্রিও করতে পারছেন না, পথে বসে পড়বে কোম্পানিগুলো। তবে বড় ফ্ল্যাট বিক্রি বেড়েছে কিছুটা, সেটাও আশানুরূপ না।
রিহ্যাব সূত্র বলছে, বছরে প্রায় ১৫ হাজার ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে থাকে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ১৫ হাজার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। ওই সময়ে প্রায় পাঁচ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত রয়েছে। বিক্রি খরা কাটেনি চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরেও।
আইএসও হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল মাহমুদ এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এখন ফ্ল্যাট বিক্রি কম, ছোট-মাঝারির বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। বিক্রি না থাকায় অনেক কোম্পানিই বিনিয়োগ করে লোকসানে রয়েছে। কম দামে বিক্রিও করতে পারছেন না, পথে বসে পড়বে কোম্পানিগুলো। তবে বড় ফ্ল্যাট বিক্রি বেড়েছে কিছুটা, সেটাও আশানুরূপ না।’