“শরীফ থেকে শরীফা” নিয়ে তদন্ত কমিটি বিকেলে বসছে

অতিথি নিউজ ডেস্ক :

“শরীফ থেকে শরীফা” নিয়ে তদন্ত কমিটি বিকেলে  বসছে

নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইতে আলোচিত-সমালোচিত ইস্যু "শরীফ থেকে শরীফা" হওয়ার গল্প। এর সাথে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং তার চাকরিচ্যুতির অপরবর্তী জীবনধারার সঙ্গে যোগাযোগ এবং এই গল্পটি সারাদেশে আলোচনার মৌলিক এবং প্রেরণাদায়ক হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইতে থার্ড জেন্ডার বা হিজড়া জনগোষ্ঠীর সম্পর্কে বিষয়টি উঠে এসেছে এবং এর উপস্থাপনায় যদি কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তি থাকে, তবে কমিটি সংশোধন করবে। তার অনুসারে, সংশোধনের জন্য কমিটি তাদের কাজ শুরু করতে পারে।

জানা গেছে, পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে একটি পাঠ রয়েছে। এ পাঠের বিষয়বস্তু নিয়ে বছরের শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস’র একটি অনুষ্ঠানে বইয়ের ওই গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর।

বইয়ে শব্দটি ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটি আইনত স্বীকৃত, যারা জৈবিক কারণে তৃতীয় লিঙ্গ বা সামগ্রিকভাবে সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা এ দেশের নাগরিক। অবশ্যই তাদের নাগরিক সুবিধা আছে।