"শীতকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ওল খান"

অতিথি নিউজ ডেস্ক :

"শীতকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ওল খান"

শীতকালে রোগপ্রতিরোধী খাবারের সঙ্গে সহজে মিলে যাওয়া কিছু আহার, যা সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার হাত থেকে রেহাই মেলে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

সজন, অদ্ভুত গাছ যা মূল, কাণ্ড, বাকল এবং পাতায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপকারী বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, বিশেষভাবে তার বীজ এবং পাতায় লুকিয়ে রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে এটির গুণাবলীর উল্লেখ রয়েছে, এবং সজন একটি বিশেষভাবে উপকারী গাছ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর পাতায় উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। প্রায় ১০০ গ্রাম সজনে পাতায় ৪৪৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

মাটির নিচে জন্মায় বলে ওলকে বলা হয় পুষ্টির ভান্ডার। ওল নিয়মিত সেবন করলে পাইলসের মতো মারাত্মক রোগেরও চিকিৎসা করা যায়। ওলের নির্যাস আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ সারাতে উপকারী। ওলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার ও আয়রন পাওয়া যায়।

 শুধু তাই নয়, ওলে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, তাই ওল সেবন করলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। যদি আমরা শীতকালে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম ওল খাই তাহলে আমাদের শরীরে আর কোনও রোগ থাকবে না। তাই শারীরিক দুর্বলতা, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ এড়াতে এটি নিয়মিত খাওয়া উচিত।

তিল সুপার ফুড হিসাবে বিবেচিত হয়। তিলের বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তিল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তিলের বীজ খেলে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিলের বীজে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং গুড ফ্যাটের মতো অনেক পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। যা হাড় মজবুত করতে, ফোলাভাব কমাতে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগ দূর করতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাক্সসিড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।

 এতে ভিটামিন বি ১, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং জিঙ্কের মতো অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে। নিয়মিত ফ্ল্যাক্সসিড খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতকালে এটি খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে উষ্ণতা আসে, উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন কমাতেও এটি সহায়ক।