“ট্রলির জন্য অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করছেন মুমূর্ষু রোগীরাও”

অতিথি নিউজ ডেস্ক :

“ট্রলির জন্য অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করছেন মুমূর্ষু রোগীরাও”

ঢাকা: দেশের সকল শ্রেণির মানুষের চিকিৎসার একটি গুরুতর স্থান হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। এখানে সবসময় রোগীদের সাথে সহানুভূতি এবং চিকিৎসার জন্য একটি উচ্চ মানসম্পন্ন দক্ষ দল থাকে। বিশেষভাবে রাজধানী ঢাকায় হওয়া যেকোনো দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ডে আহত-দগ্ধদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এখানের জরুরি বিভাগে সর্বক্রিয় এবং জরুরিতে রোগীদের বহনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত ট্রলি থাকে। তবে, রোগীদের চাপের কারণে মাঝে মাঝে ট্রলির সংকট দেখা যায় এবং এই সংকটের ফলে গুরুতর রোগীগণ তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা হতে বঞ্চিত হতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই সংকটকে জনবলের দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু এটি সাধারিতা বানামি জরুরি সংকটের কারণে এমন হতে পারে।

২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে, ঢামেকের জরুরি বিভাগে আনুমানিক ২০ মিনিট কোনো ট্রলি খুঁজে পাওয়া যায়নি, এটির ফলে কয়েকটি রোগীদের আত্মীয় এবং সঙ্গী স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।

অন্যদিকে, একটি অ্যাম্বুলেন্সে গাইনি রোগী সুমি আক্তারকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ট্রলির অভাবে মোটরযানে অসুবিধা হয়েছে এবং এটির কারণে কয়েকজন রোগীর স্বজন হাসপাতালে যেতে অস্বীকৃতি অভিজ্ঞ হতে পারে।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ জানান, হাসপাতালে ট্রলির কোনো সংকট নেই, এটি জনবলের দায়িত্বের ক্ষেত্রে। প্রতি শিফটে দৈনিক মজুরিতে ১০ থেকে ১২ জন ডিউটি করেন এবং হাসপাতালে মোট ৩০টি ট্রলি রয়েছে। তারা দৈনিক মজুরিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং ট্রলি সংকটের কারণে হাসপাতালে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা না পেতে রোগীরা বঞ্চিত হতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, আরও ২০টি নতুন ট্রলি জরুরি বিভাগে দেওয়া হবে এবং সাধারিতা এবং জরুরি সংকটের কারণে স্পেশাল ট্রলি বিনায়ক থাকবে। জরুরি বিভাগে ডিউটি পদক্ষেপে অনেকগুলি মজুর নিয়োগ করা হয়েছে যারা ট্রলি চালনার কাজ করতে পারবে।